প্রশ্ন : বদনজরের শরয়ী ভিত্তি জানতে চাই? সত্যিই বদনজর বা খারাপ দৃষ্টির কারণে মানুষের ক্ষতি হয় কি?
উত্তর : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেভাবে বিভিন্ন বস্তু ও জিনিসের মধ্যে ক্ষমতা ও প্রভাব দিয়েছেন, তেমনিভাবে মানুষের দৃষ্টির মধ্যেও এক বিশেষ শক্তি দান করেছেন। কখনো কখনো কোনো জিনিসের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকালে তাতে নজর লেগে যায়। যার ফলে বস্তু বা ব্যক্তির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। নবি করিম (সা.) ইরশাদ করেন, চোখ লাগা সত্য।
নজর লাগার জন্য যে দেখছে তার খারাপ নিয়তের প্রয়োজন নেই। কখনো কখনো নজর মা-বাবার থেকেও লেগে যায়। তাই কারও প্রতি খারাপ ধারণা না করা উচিত।
নবি করিম (সা.) বদনজর থেকে মুক্তির জন্য এ পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন, নজরদানকারী ব্যক্তি অজু বা গোসল করে ব্যবহৃত পানি একটি পাত্রে জমা করে রাখবেন এবং যার ওপর বদনজর লেগেছে তাকে এ পানি দিয়ে গোসল দেবেন। আবু দাউদ শরিফে হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তাতে অজুর কথা উল্লেখ রয়েছে এবং মুসলিম শরিফে হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) এর বর্ণনায় গোসলের কথা উল্লেখ রয়েছে।
তথ্যসূত্র : আবু দাউদ শরিফ, হাদিস নং-৩৮৭৯,৩৯৮০, মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-২১৮৮, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা-৩৭০।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।